সরকার বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিচার ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। ন্যায়বিচার পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক যেসব দেশ রয়েছে, তাদেরকে অবহিত করা হবে। আর অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে, সেই বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ে আসার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে যথারীতি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘খালেদার মুক্তির দাবিতে আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করবো, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে র‌্যালি করবো। আগামী ২৪ আগস্ট সনাতন ধর্মালম্বীদের নিয়ে গুলশানে সোহার্দ্য বিনিময়ও হবে। বিচার ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না, সঠিক বিচার পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এজন্য আন্দোলন বেগবান করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদ-উল আজহায় কোরবানির চামড়া এতিমখানাগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। দান করার পরে এতিমখানাগুলো এই চামড়া থেকে যে মূল্য পায় তা দিযে খুব উপকৃত হয় এবং তারা বছরের অর্ধেক সময় এই আয় দিয়ে চলে। এবার চামড়ার মূল্যধসের যে ঘটনা আমরা দেখলাম, এটা সরকারের সম্পূর্ণ উদাসীনতা। সরকারের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের মদদে একটি সিন্ডিকেট এই কাজটি করছে এবং এটা তারা স্বীকার করেছে।’

‘ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেও বলেছেন, সিন্ডিকেটের সদস্য যারাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের মদদেই এই সিন্ডিকেট ইচ্ছাকৃতভাবে নিজস্ব স্বার্থে সুপরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিতে এই কাজগুলো করছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, এবার যে কাজটি করা হয়েছে তাতে সম্পূর্ণ ইন্ডাস্ট্রিকে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। আপনারা জানেন এবার এই চামড়া অত্যন্ত অল্প দামে বিক্রি করা হয়েছে যার কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পাননি। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোককে সুবিধা দেয়া হয়েছে।’