সুদানে চলমান সঙ্কট সমাধানে ক্ষমতাসীন সেনা পরিষদ ও বিরোধী বেসামরিক জোটের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য একটি চুক্তি সই হয়েছে। যাকে সবপক্ষই ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করছে। বিবিসি বলছে, নির্বাচন এবং নতুন বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার লক্ষ্যে বেসামরিক নেতৃবৃন্দ এবং সেনাবাহিনীর জেনারেলদের মধ্যে এই চুক্তি সই হয়। শনিবার দেশটির রাজধানী খারতুমে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইথিওপিয়া ও মিশরের প্রধানমন্ত্রী এবং সাউথ সুদানের প্রেসিডেন্টমহ আঞ্চলিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তি অনুসারে ছয় সদস্যের বেসামরিক প্রতিনিধি এবং পাঁচজন জেনারেলের সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবে। এর মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ প্রায় তিন বছর পর্যন্ত ক্ষমতার পালাবদলে সম্মত হয়েছে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে বেসমারিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য দুইপক্ষই একমত হয়েছে।

সুদানের সবচেয়ে ক্ষমতাবান হিসেবে পরিচিত মোহাম্মেদ হামদান ‘‘হেমেতি’’ দাগোলো দুইপক্ষের এসব শর্ত মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চুক্তির প্রতিটি অক্ষর কঠোরভাবে মেনে চলবেন বলে তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন। গত এপ্রিলে দীর্ঘ দিনের শাসক ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই গণতন্ত্রপন্থী প্রতিবাদ এবং তাদের বিরুদ্ধে দমননীতি সুদানকে বিশৃঙ্খল করে ফেলে।

গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট বশির জরুরি কঠোর ব্যবস্থা জারির পর থেকেই সুদান অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। রুটি ও জ্বালানি ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় পূর্ব সুদানে জীবনমানের ওপর প্রভাব পড়ে। পরে এই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীতে। এরপর দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দেশ শাসন করা বশিরের ক্ষমতাচ্যুতির দাবিতে লোকজন রাস্তায় নেমে আসেন। এপ্রিলে সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তবে আন্দোলনকারীরা বেসামরিক প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে।