ময়মনসিংহ শহরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক গারো তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার শহরের ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় পদ্মা জেনারেল (প্রা.) হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে অভিযুক্ত ক্লিনিক ম্যানেজার সোহেল রানা আলম পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচ গারো তরুণীকে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে যায়। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে এক তরুণীকে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) দেখানোর কথা বলে দোতলায় একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন হাসপাতালের ম্যানেজার সোহেল রানা আলম। পরে ওই তরুণীর সহপাঠীরা উপরে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখে।

এসময় বাকি চার তরুণী তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠলে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন হাসপাতালের মালিক মজিবুর রহমান বাবুল। এই সুযোগে পালিয়ে যায় হানপাতালের ম্যানেজার আলম। ঘটনার পর পুলিশ হাসপাতালের মালিক মজিবুর রহমান বাবুলকে আটক করে।

পরে নির্যাতিতা ওই তরুণী বাদী হয়ে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার সোহেল রানা আলম ও ক্লিনিক মালিক মজিবুর রহমান বাবুলের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে হাসপাতালে গারো তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গারো সম্প্রদায়ের নেতারা।

ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অরণ্য-ই চিরান বলেন, ‘অভিযুক্ত আসামিদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’