জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই মালয়েশিয়া সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশের করপোরেট কমিউনিকেশনের প্রধান দাতুক অস্মাবতী আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন মালয়েশিয়ায় জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে জাকির নায়েককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে মালয়েয়ার হিন্দুদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার পর তাকে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশ্য বিতর্কিত মন্তব্যের জন্যে জাকির নায়েক ক্ষমা চেয়েছেন।

জাকির নায়েক বলেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি মোটেও বর্ণবাদী নন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন যে, তার সমালোচকরা তার বক্তব্যকে ভুলভাবে নিয়েছেন এবং তার বক্তব্যে মনগড়া কথা যোগ করা হয়েছে। তবুও আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। এখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি কারো অনুভূতিতে আঘাত করতে চাই না। তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে আঘাত করাটা কখনোই আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এটা ইসলামের মূল শিক্ষার পরিপন্থি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। সাম্প্রতিক সময়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় হিন্দু এবং চীনাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন জাকির নায়েক। ওই অনুষ্ঠানে তিনি মালয়েশিয়ায় বসবাসরত চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করছেন।

এর আগে জাকির নায়েককে মেলাকা, জোহট, সেলাঙ্গোর, পেনাং, কেদাহ, পেরলিস, সারাওয়াকের মতো সাতটি এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জন্য রোববার জাকির নায়েকের কড়া সমালোচনা করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।