জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ কোনদিন শোধ হবে না। শোধ করা যাবেও না। কারণ জাতির পিতা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। ঘাতকের নির্মম বুলেটে বঙ্গবন্ধুর বুকের যে তাজা রক্ত বাংলার জমিনে পড়েছে তার ঋণ কী করে আমরা শোধ করবো? এটা কখনোই সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘মা যেমন তার সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন। ঠিক তেমনি মাতৃত্বের অনুভূতি দিয়ে বঙ্গবন্ধু এই ভূখন্ড কে বুকে ধারণ করেছেন। যার কোন আত্মপরিচয় ছিল না, সেই জাতিকে তিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।’

মঙ্গলবার গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় উপাচার্য এ সব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘যারা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি। যারা বুঝে গিয়েছিল কোনদিন নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। তারাই দেশি-বিদেশি নীলনকশার অংশ হিসেবে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু একটি পরিবার এবং ব্যক্তিকে হত্যা করতে চায়নি। তারা একটি আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আদর্শকে তারা হত্যা করতে পারেনি। কারণ সততা এবং আদর্শই শক্তি। কোন ব্যক্তি সততা এবং আদর্শের মধ্যে থাকলে তাকে কেউ পরাস্ত করতে পারে না।’

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, ¯œাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, ¯œাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নাসির উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান।