বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) বৃহষ্পতিবার দিনব্যাপী “মানসম্পন্ন ফুল ও বাহারী গাছ উৎপাদন এবং সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারি’র উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফুল বিভাগে কর্তৃক আয়োজিত উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. বাবু লাল নাগ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। বারি’র পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. আবেদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. এ কে এম শামছুল হক, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) জনাব মো. হাবিবুর রহমান শেখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মসূচী পরিচালক ড. কবিতা আনজু-মান-আরা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একই বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফারজানা নাসরীন খান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বাবু লাল নাগ বলেন, ফুলকে এক সময় ফসল হিসেবে গন্য করা হতো না। শুধু সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু আজ ফুল একটি অর্থকরী ফসল। ফুল চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফুল সৌন্দর্য ও পবিত্রার প্রতীক শুধু তাই নয় এটি এখন একটি জীবিকা নির্বাহের উপায়ও বটে। ফুল চাষ করে এখন অনেক চাষী লাভবান হচ্ছেন। ফুলকে বলা হয় হাই ভেলু ক্রপ। বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হচ্ছে। অন্তত ৬-৭ ধরনের ফুল প্রায় ২০টি জেলায় চাষ হচ্ছে। কমপক্ষে ২-৩ লাখ মানুষ সরাসরি ফুল চাষের সাথে জড়িত। দেশের বৃহৎ নারী জনশক্তিকে ফুল চাষে যুক্ত করে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করা সম্ভব।

আয়োজকরা জানান, প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহকারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, এনজিও প্রতিনিধি ও কৃষক প্রতিনিধিসহ মোট ৩০ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি “বাংলাদেশে অর্কিড, ক্যাকটাস-সাকুলেন্ট ও বাল্ব-করম জাতীয় ফুলের জাত উন্নয়ন, উৎপাদন, সংগ্রহোত্তর ও মূল্য সংযোজন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিস্তার কর্মসূচী” প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজন করা হয়।