ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে একটি পরিত্যক্ত রেলের বগিতে পঞ্চগড়ের মাদ্রাসাছাত্রী আসমা খাতুনকে (১৭) ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়। বিচারের দাবিতে শুক্রবার সকালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে এই মামলার প্রধান আসামি ফারুফ হাসান বাঁধন সদর থানায় ‘আত্মসমর্পণ’ করেছে। তবে পুলিশ তাকে আটকের দাবি করেছে। কিন্তু কোথা থেকে আটক করা হয়েছে তা জানায়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁধনের মা সাংবাদিকদের জানান, বাঁধন বাড়িতে এলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রাতেই সদর থানায় আত্মসমর্পণ করে সে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু আক্কাস আলী আহমদ বাঁধনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকা থেকে রেলওয়ে পুলিশের একটি দল রওয়ানা করেছেন। আসামিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

শুক্রবার সকালে ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের শের-ই-বাংলা পার্ক মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে জেলার বিভিন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ জেলার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বাঁচাও পঞ্চগড় নামের একটি সামাজিক সংগঠন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্বাস আলী, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, জেলা পরিষদ সদস্য ও এনজিও কর্মী আক্তারুন্নাহার সাকি, সমাজ কর্মী আনোয়ারুল ইসলাম খায়েরসহ আসমার বাবা ও চাচা। এসময় বক্তরা শুধু প্রধান আসামি নয়, এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান।