গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অপহরণের ১৬দিন পর এক পোশাক শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের নাম অহিরুল ইসলাম (২২)। সে পাবনার আটঘরিয়া থানার ভরতপুর গ্রামের ফজলুল হক মোল্লার ছেলে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার ইয়াকুব শেখ (৫০), তার ছেলে কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল (২৫) এবং রাজশাহীর পুঠিয়া থানার কান্দা গ্রামের মো. শামীম (২২)। শামীম ইয়াকুব শেখের বাড়ির ভাড়াটিয়।

কালিয়াকৈর থানার এসআই মাহবুব আলম ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় ময়েজ উদ্দিন টেক্সটাইল মিলে চাকুরী করতেন অহিরুল ইসলাম। গত ৬ আগষ্ট তিনি গ্রামে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে কালিয়াকৈরের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। এক পর্যায়ে গত ১২ ও ১৩ আগষ্ট অপহরণকারীরা অহিরুলের মোবাইল থেকে ফোন করে স্বজনদের নিকট ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। পরে এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই পাঞ্চাব আলী বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে পুলিশ জয়পুরহাটে অভিযান চালিয়ে শামীম আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইয়াকুব শেখ ও তার ছেলে কামরুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার দুপুরে নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।