লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে।
বুধবার মধ্যরাত ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঐ উপজেলার সানিয়াজান বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের ৪ জন ও ছাত্রশিবিরের ১ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট নিয়ে বুধবার মধ্যরাতে সানিয়াজান ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সম্রাট শাহ আলমের ওপর হামলা চালায় কতিপয় কিছু সংঘবদ্ধ লোকজন। স্থানীয় ছাত্রলীগের দাবি জামাত-শিবিরের লোকজনের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা সম্রাট শাহ আলম আহত হয়েছে।

এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সানিয়াজান বাজারে আনিছুর রহমান নামে এক দোকানদারকে জামাত-শিবির সমর্থক দাবি করে তার দোকান খুলতে নিষেধ করে। এ সময় আনিছুর রহমানের লোকজন বাঁধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে সানিয়াজান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক চাঁদ মিয়া, সদস্য আতাউর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। অপর পক্ষে দোকানদার আনিছুর রহমানও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।আহতরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

সানিয়াজান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান জানান, শিবির নেতা দোকানদার আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় তাদের ৪ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

দোকানদার আনিছুর রহমান জানান, আমি শিবিরের রাজনীতি করিনা, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্রলীগ করি। পারিবারিক ঘটনাকে তারা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আমাদের উপরে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতার উপরে হামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় আমাদের উপরে হামলার প্রতিবাদে আমরা পালটা আঘাত করি। এ হামলার জন্যই তারাই দায়ী। সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর জানান, জামাত-শিবির নয়, বরং ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহতও হয়েছেন। স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন এমপি আসার পরে বিষয়টি নিয়ে বসা হবে।

এব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান বলেন সানিয়াজান ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আনিছুর রহমান সহ অনেক ছাত্রলীগ কর্মীদের শিবিরের লোকজন ব্যপক মারধর করছে তিনি এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এখনে ব্যপারটাকে ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই, এখানে আইনানুগ ব্যবস্থা অবশ্যই নিব। এব্যাপারে জানতে চাইলে হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।