গাজীপুরে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকার গ্যাস লাইন ও পাঁচশতাধিক বাড়ির ৭শতাধিক অবৈধ আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এসময় ওই এলাকা থেকে বিভিন্ন ব্যাসার্ধের পাইপ, রাইজার ও অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ জহুরা’র নেতৃত্বে বিভিন্ন স্পটে দিনব্যাপি ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।

গাজীপুর তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী অজিত চন্দ্র দেব জানান, অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্নের অংশ হিসেবে বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ জহুরা’র নেতৃত্বে ও গাজীপুর (জোবিঅ-গাজীপুর) এর উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি, উজিলাব ও কেওয়া গ্রামের ৬টি স্পটে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে অবৈধভাবে স্থাপিত এক ইঞ্চি, দুই ইঞ্চি ও তিন ইঞ্চি ব্যাসের প্রায় ৭ কিলোমিটার পাইপ লাইনের সংযোগস্থলসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ লাইন অপসারণ করে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এতে পাঁচশতাধিক বাড়ীর প্রায় সাড়ে ৭শ’টি চুলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার কারীরা পালিয়ে যায়।

অভিযানকালে গাজীপুর তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (জোবিঅ-গাজীপুর) প্রকৌশলী অজিত চন্দ্র দেব, উপব্যবস্থাপক প্রকৌ. শবিউল আওয়াল ও প্রকৌ. আবু সুফিয়ান, সহকারী প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ, সহকারী ব্যবস্থাপক (কারিগরী) মোঃ রেজাউল হকসহ তিতাস গ্যাস ও প্রশাসনের প্রমূখ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকৌশলী অজিত চন্দ্র দেব আরো জানান, তিতাস গ্যাস অফিসের কোন অনুমোদন না নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা কতিপয় অসাধু ঠিকাদারের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব বাসা বাড়ীতে অবৈধভাবে সংযোগ প্রদান করে। অবৈধ সংযোগের এ গোপন সংবাদ পেয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বৃহষ্পতিবার ওই অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পাইপ জব্দ করে। এর আগেও একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস লাইন ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। যারা অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করেছেন এবং সহযোগিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিতভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।