২০২২ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় আনুষ্ঠানিকভাবে লেগো উন্মোচন করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। কাতার বিশ্বকাপের লোগোতে চিত্রিত ‘অখণ্ড লুপ’ যা আট সংখ্যাকে নির্দেশ করছে তা দিয়ে টুর্নামেন্টের জন্য নির্ধারিত ৮টি স্টেডিয়ামকে বোঝানো হয়েছে। আবার প্রতীকটির গায়ে যে বাঁক দেখা যায় তা দিয়ে মরু পাহাড়ের বালিয়াড়ির ঢেউকে বোঝানো হচ্ছে। ওই লুপ কে একইসঙ্গে ‘ইনফিনিটি’ চিহ্ন হিসেবেও চিত্রিত করা হয়েছে, যা দিয়ে এই আসরের ‘আন্তঃসংযোগ’র বৈশিষ্ট্যকে প্রতিফলিত করছে।

প্রকাশিত লোগোটি আরবের স্পিরিট এবং কাতারের ঐতিহ্যকে ধারণ করে। বিভিন্ন জাতির মানুষকে কাতারে একত্রিত করবে ফুটবল। অর্থাৎ শুধু ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা থেকে বিভিন্ন সংস্কৃতির সম্মেলন ঘটবে সেখানে। আর লোগোর প্রতীকটি এমন একটি জাতির গল্পকে প্রতিফলিত করছে যারা মাটি থেকে উপরে ওঠেছে এবং এখনও ঊর্ধ্বগামী।

এছাড়াও ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফির গড়ন অনুসারে বানানো এই লোগোটির মূল ধারণাটি এসেছে আরবের ঐতিহ্যবাহী ‘উলের শাল’ থেকে। শীতকালে এই শাল দুনিয়াজুড়েই পরিধান করা হয়, বিশেষ করে আরবে এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আর ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বিশ্বকাপের আসর বসবে শীতকালে।

থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই লোগোটি দোহা এবং কুয়েত-মরক্কোর মতো আরব দেশের অনেক শহরে প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া নিউইয়র্ক, বুয়েনস এইরেস, সাও পাওলো, সান্তিয়াগো, মেক্সিকো সিটি, জোহানেসবার্গ, লন্ডন, প্যারিস, বার্লিন, মিলান, মাদ্রিদ, মস্কো, মুম্বাই, সিউল এবং তুরস্কের ১০টি জেলার বিভিন্ন স্থাপনায় একযোগে লোগোটি প্রদর্শিত হয়েছে।

তবে ২০১৭ সাল থেকে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরে বিশ্বকাপ লোগোর প্রদর্শন করা হয়নি। এই দেশগুলো কাতারের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও যোগাযোগ ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।