গাজীপুরে ন্যাশনাল পার্কের গজারী বনে দেশীয় চোলাই মদ তৈরীর বিশাল কারখানা আবিষ্কার করেছে র‌্যাব-১। এসময় চোলাই মদ তৈরী ও বিক্রির অভিযোগে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে আদালত অভিযুক্তকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ প্রদান এবং উৎপাদিত ১৪ হাজার লিটার চোলাই মদ ও মদ তৈরীর সরঞ্জামাদি ধ্বংস করেছে। র‌্যাব-১’র স্পেশালাইজ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বৃহষ্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

দন্ডপ্রাপ্তের নাম তাপস চন্দ্র বর্মণ (২৪)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সদর থানার কুমারখাদা এলাকার কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণের ছেলে।

র‌্যাব-১’র ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ন্যাশনাল পার্কের গজারী বনে মাদক ব্যবসায়ীরা চোলাইমদ উৎপাদন, সংরক্ষন ও বিক্রি করছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান এবং র‌্যাব-১’র স্পেশালাইজ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এর নেতৃত্বে র‌্যাব-১এর সদস্যরা ওই গহীন বনে অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ তৈরীর বিশাল কারখানা আবিষ্কার করেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে মাদক ব্যবসায়ী তাপস চন্দ্র বর্মণকে আটক ও প্রায় ১৪ হাজার লিটার তৈরী চোলাই মদসহ মদ তৈরীর বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এসব তৈরী চোলাই মদ ৬৮টি ড্রামসহ বেশ কিছু কন্টেইনার, বালতি, পাতিল ও কলসে ভর্তি করে বিশেষ কৌশলে ওই বনে রাখা ছিল। পরে আটক ব্যক্তিকে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামানের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে সে তার অপরাধ স্বীকার করে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত তাপস চন্দ্র বর্মণকে ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে (দেশীয় তৈরী চোলাইমদ তৈরী সংরক্ষন ও বিক্রয় করার দায়ে) ১বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। একই সঙ্গে অভিযুক্তকে ৫ হাজার টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত ও অনাদায়ে আরো ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে গাজীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এসময় জব্দকৃত চোলাই মদ ও মদ তৈরীর সরঞ্জামাদি ধ্বংস করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্ক বন বিভাগের জঙ্গলের মধ্যে সু-কৌশলে দেশীয় তৈরী চোলাইমদ তৈরী, সংরক্ষন ও বিক্রয় করে আসছিল তাপস চন্দ বর্মণ। পার্কে মানুষের চলাচল কম থাকার সুযোগে তারা এই অবৈধ কাজ করে। এই চোলাই দেশীয় মদ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় গোপনে বিক্রি করা হতো।