পারস্য উপসাগর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি জাহাজ আটক করেছে ইরান। আড়াই লাখ লিটার ডিজেল পাচারের অভিযোগে আমিরাতের জাহাজটিকে আটক করেছে ইরানের ইসলামী রেভ্যুলেশন গার্ডবাহিনী। সোমবার ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ইসনার বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা নিয়ে অভিযোগ ও উত্তেজনার মধ্যেই আমিরাতি নৌযানটিকে আটক করল ইরান।

ইসনা’র খবরে বলা হয়, পারস্য উপসাগরে ইরানের বৃহত্তর তান্ব দ্বীপের কাছে জাহাজটি আটক করা হয়। ক্রুদের দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমুজগান প্রদেশের আইনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে আটক ক্রুদের জাতীয়তা ও পরিচয়ের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সংবাদ সংস্থাটি।

প্রতিবেশী ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা শনিবার সৌদির রাষ্ট্র মালিকানাধীন তেল কোম্পানি আরমাকোর দুটি স্থাপনায় শনিবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল স্থাপনায় হামলায় দায় ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী স্বীকার করলেও এর জন্য ইরানকে দায়ি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

হুতিদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, হুতিরা ড্রোন হামলা করেনি। ইরান হুতিদের নাম করে অভিনব কৌশলে দাম্মামের অদূরে বাকিয়াক এলাকার সেই তেলকূপে হামলা চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের মধ্যে তেহরান তার শক্তি বৃদ্ধির জন্য পেট্রল রফতানি করছে। বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি ও দেশীয় মুদ্রার দরপতনের ফলে ইরান থেকে খুবই সস্তায় জ্বালানি সংগ্রহ করে বিভিন্ন দেশ।

দেশটি থেকে প্রতিদিন আনুমানিক ১ কোটি লিটার জ্বালানি চোরাচালান করা হয় ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চোরাচালান ঠেকাতে বেশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে তেহরান।

আগস্টের শুরুতে ৭ লাখ লিটার জ্বালানি পাচারকালে সাত ক্রুসহ আরেকটি বিদেশি জাহাজ আটক করে ইরানের ইসলামী রেভ্যুলেশন গার্ডবাহিনী (আইআরজিসি)। তারও আগে জুলাই মাসে ১০ লাখ লিটার জ্বালানি পাচারকালে হরমুজ প্রণালী থেকে আরেকটি জাহাজ আটক করেছে তারা।