ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করে সফরকারীদের উড়িয়ে দেয় সাকিব বাহিনী। ২৪ সেপ্টেম্বর ফাইনালে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। টানা তিন ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় জিম্বাবুয়ে।

আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে লিটন-মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৭৬ রানের বড় লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে অভিষিক্ত আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শফিউলদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মাতুমবামি। ৩৬ রান করেন অভিজ্ঞ মাসাকাদজা। টেলর ও চাকাবা ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।

ফিল্ডিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। টেলরকে ০ রানে ফিরিয়ে শুভসূচনা এনে দেন সাইফউদ্দিন। সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন দুই বছর পর দলে ফেরা শফিউল। নিজের প্রথম ম্যাচেই লেগস্পিনার হিসেবে দলে আসা আমিনুল চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। ইনিংসের শেষ ওভারে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এ ছাড়া সাকিব ও সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।

সাগরিকার পাড়ে এসে টাইগাররা যেন নিজেদের ফিরে পেয়েছেন। টসে হেরে আগে ব্যাট করে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মাহমুদউল্লাহ-লিটনরা। শুরুতেই এসে ঝড় তুলেছিলেন লিটন দাস। তিনি আউট হয়ে গেলেও মাহমুদউল্লাহ ঝড়ে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ছয় রানে মোসাদ্দেক ও শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম।

প্রথম ওভারে বাংলাদেশ মাত্র দুই রান কর‍তে পারে। এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েও বেঁচে যান লিটন দাস। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে ঝড়ের আভাস দেন এই ওপেনার। সেই ঝড় থামে ২২ বলে ৩৮ রান করার পর।

প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ মুশফিকুর রহিম ফিরে পেয়েছেন নিজেকে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩২ রান। ব্যাট হাতে বিশ্বকাপে দারুণ সময় কাটালেও ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যর্থ সাকিব। তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২৬ রান। আজ আউট হয়েছেন মাত্র ১০ রান করে।

মাত্র দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার। কিন্তু রাঙাতে পারেননি। ৯ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন আজ আউট হয়েছেন মাত্র সাত রান করে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন জার্ভিস। এ ছাড়া এম্পফু দুটি ও একটি করে উইকেট নেন বার্ল ও মাতুমবুডজি।