জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে এই ভোট শুরু হয়। সারা দেশে ১১৭টি ইউনিটের ৫৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে ছাত্র দলের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। শাহজাহানপুর মোড়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাসের বাসায় ভোট কেন্দ্র স্থাপন করে এই ভোটাভোটির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচনের কাজটি শুরু করেছি। ভোট শুরু হয়েছে। টানা এই ভোট হবে।’
‘ভোটের পর আমরা দ্রুতই ভোট গণনার কাজ শুরু করে ফলাফলও ঘোষণা করবো।’ মির্জা আব্বাসের বাসা স্থাপিত অস্থায়ী ভোট কেন্দ্রে কাউন্সিলর ও প্রার্থীদের কার্ড দিয়ে ঢুকানো হয়। ছাত্র দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট প্রার্থী ২৮ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক ১৯ জন।

ছাত্রদলের সভাপতি পদে প্রার্থীরা হলেন- ফজলুর রহমান খোকন, হাফিজুর রহমান, মামুন বিল্লাহ (মামুন খান), সাজিদ হাসান বাবু, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা রুবেল, মো এরশাদ খান, মাহমুদুল আলম সরদার ও কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা হলেন- মো. শাহনেওয়াজ, আমিনুর রহমান আমিন, জাকিরুল ইসলাম জাকির, তানজিল হাসান, কারিমুল হাই নাঈম, মাজেদুল ইসলাম রুমন, ডালিয়া রহমান, শেখ আবু তাহের, সাদিকুর রহমান, কেএম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন শ্যামল, জুয়েল হাওলাদার, মুন্সি আনিসুর রহমান, মিজানুর রহমান শীরফ, শেখ মো. মসিউর রহমান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা ও কাজী মাজহারুল ইসলাম।

এর আগে বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে বৈঠক করেন। সে বৈঠক থেকেই মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় আজ রাতেই কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ নেতারা ছিলেন।

প্রার্থীদের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থকরা নয়া পল্টনের অফিসের সামনে দুপুর থেকে অবস্থান নিতে শুরু করে।
১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। তবে ১২ সেপ্টেম্বর সাবেক কমিটির এক নেতার করা মামলায় এ কাউন্সিলের ওপর আদালত স্থগিতাদেশ দেন এবং একই সঙ্গে বিএনপির নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেন।