রাজধানী কায়রোসহ মিসরীয় অন্যান্য শহরে দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির অপসারণের দাবি জানিয়ে বিরল ছোট ছোট বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যদিও বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করে পাঁচজনকে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে সিসির ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয় বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা এই সেনা শাসকের বিরুদ্ধে কায়রোর তাহরির স্কয়ারের আশপাশে শত শত লোক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।এই স্কয়ার ২০১১ সালের বিপ্লবের কেন্দ্রস্থল ছিল, যেখানের আন্দোলন থেকে দেশের দীর্ঘকালীন আরেক স্বৈরশাসকের পতন হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৩ সালে মিসরের ইসলামপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে সামরিক শাসন কায়েম করেন দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। যদিও পরে তিনি নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। এরপর পাস হওয়া একটি আইনের অধীনে মিসরে কার্যকরভাবে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ। আর এই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্ট বিরোধী বিক্ষোভে নামাটা এক ধরনের বিরল।রাতে যখন বিক্ষোভ শুরু হয়, তখন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিক্ষোভকারীদের চারপাশ ঘিরে রেখেছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একপর্যায়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং অন্তত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।

মিসরে এই সেনা শাসনামলের প্রতি অসন্তুষ্ট অনেকেই। তাদের ধমিয়ে রাখতে গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার ইসলামপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ কর্মী ও জনপ্রিয় ব্লগারদের জেল কাটতে হচ্ছে সিসির বিরুদ্ধে কথা বলে।রাতের বিক্ষোভের ফুটেজে দেখা গেছে, শত শত আন্দোলনকারী সিসির পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দিচ্ছেন। আর এই ফুটেজ ছড়িয়েছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।তাহরির স্কয়ারকে হ্যাশট্যাগ আর ফুটেজটি শেয়ার করে এই আন্দোলন এখন চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।