সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, অর্থপাচার ও অন্যান্য অপরাধ দমনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টালিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গত ১৯ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর আর্থিক অপরাধ বিষয়ক এক যৌথ কর্মশালার আয়োজন করে। ১৯ সেপ্টেম্বর এই কর্মশালা উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত মিলার এবং বিএফআইইউ-এর প্রধান আবু হেনা মোহাম্মাদ রাজি হাসান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত মিলার অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন মোকাবিলা করা এবং আইনের শাসন জোরদার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, সন্ত্রাসবাদী ও আর্থিক অপরাধ যেহেতু দিনে দিনে চৌকস হচ্ছে, কাজেই তদন্তকারী ও কৌঁশুলিদেরও নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, অর্থপাচার ও অন্যান্য অপরাধ দমনের অভিন্ন লক্ষ্য পূরণে নিজেদের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ সমন্বিত করা জরুরি।

এই কর্মশালা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও কৌঁশুলিদের আর্থিক অপরাধ তদন্ত ও মামলা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে মৌলিক তথ্য ও কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেবে। অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি এই কর্মশালায় আন্তর্জাতিকভাবে উৎকৃষ্ট চর্চা, অর্থপাচার অপরাধের তদন্ত ও মামলা প্রস্তুতের আইনি কাঠামো, আর্থিক অপরাধ তদন্তে প্রয়োগ উপযোগী কৌশল, ফরেনসিক আর্থিক বিশ্লেষণ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পদ ফিরিয়ে আনা এবং পারস্পরিক আইনি সহযোগিতা, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কৌঁশুলি খাতের প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশ নেন।যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আইন খাতের উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে অংশীদারিত্বের ভূমিকা রাখছে। ২০০৫ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অর্থ পাচার রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে অজস্র কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।