লালমনিরহাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকালে রেলওয়ে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ড করায় আফছার আলী নামে এক বৃদ্ধের হাত ও কোমড়ে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেধে রাখা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার কাকিনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে হাতীবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনে এলে উপস্থিত জনতার প্রতিবাদের মুখে বৃদ্ধ আফছার আলীকে ছেড়ে দিয়ে ভুল স্বীকার করেন রেলওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান।

জানা গেছে, লালমনিরহাট রেলওয়ে পুলিশ গোটা জেলায় রেলওয়ের জমি উদ্ধার উচ্ছেদ অভিযান পরিচলনা শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিদর্শক ইঞ্জিনিয়ার ডিএন মজুমদারের নেতৃত্বে জেলার কাকিনা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচলনা করা হয়। এ সময় রেলওয়ে পুলিশের সাথে বাক বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়েন কালীগঞ্জ উপজেলার তালুক বানী নগর এলাকার আহম্মেদ শেখের পুত্র বৃদ্ধ আফছার আলী। বাক-বিতন্ড করার অপরাধে ওই বৃদ্ধাকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশ। পরে তাকে উচ্ছেদ অভিযানের গাড়ীতে তুলে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে হাত ও কোমড়ে বেধে গাড়ীতে আটকিয়ে রাখা হয়।
ওই উচ্ছেদ অভিযানের গাড়ীটি হাতীবান্ধা রেলওয়ে ষ্টেশনের আসলে উপস্থিত লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদের মুখে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিদর্শক ইঞ্জিনিয়ার ডি এন মজুমদার আটক ওই বৃদ্ধকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনার জন্য উপস্থিত মিজানুর রহমান মিজান নামে পুলিশের এক কর্মকর্তা ভুল স্বীকার করে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।

উচ্ছেদ অভিযান দলের প্রধান বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিদর্শক ইঞ্জিনিয়ার ডিএন মজুমদার বলেন, বৈদ্যুতিক তার দিয়ে হাত ও কোমড়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমি দেখা মাত্রই আটক বৃদ্ধকে ছেড়ে দিয়েছি।

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি