গাজীপুরে র‌্যাপিড বাস ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কর্মীদের অসাবধানতার কারণে তিতাস গ্যাসের সরবরাহ লাইনের পাইপ ফেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’মার্কেটের ঔষধ ও ইলেক্ট্রনিক্সসহ চারটি দোকান ও মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দু’ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক মিজানুর রহমান ফারুকী জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজার এলাকার নুপুর মার্কেটের সামনে মঙ্গলবার দিনভর সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করে র‌্যাপিড বাস ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কর্মীরা। এসময় স্থানীদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে মাটি খুঁড়তে গিয়ে অসাবধানতার কারণে এক্সকা¬ভেটরের চাপে ওই মার্কেটের সামনে তিতাসের মেইন গ্যাস লাইনের সঙ্গে সংযোগ হওয়া আবাসিক লাইনের পাইপটি ফেটে যায়। এতে গ্যাস লাইন বন্ধ না করায় ক্ষতিগ্রস্থ লিকেজ দিয়ে গ্যাস নির্গত হতে থাকে। মধ্যরাতে পাইপের লিকেজ থেকে নির্গত ওই গ্যাসে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তেই আগুন পাশর্^বর্তী নুপুর মার্কেট ও সোবহান মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টঙ্গী ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। আগুনে ওই মার্কেটের শিল্পী ফার্মেসী নামের একটি ঔষধের দোকান, ভাই ভাই রিফ্রিজারেশন নামের ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান, মিম গ্লাস নামের থাই গ্লাসের একটি দোকান এবং ওই মার্কেটের দোতলায় জ্যাক বাংলাদেশ নামের গার্মেন্টস মেশিনারীজের একটি দোকান মালামালসহ পুড়ে যায় ও ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এব্যপারে র‌্যাপিড বাস ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ডে-শিফটের সুপার ভাইজার মো: জিহাদ বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না। রাতের শিফটে যারা কাজ করেছে তারা বলতে পারবে।

জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা জাকারিয়া খান জানান, বিআরটি প্রকল্পের কাজ করার সময় এক্সক্লাভেটরের আঘাতে তিতাস গ্যাসের সরবরাহ লাইন ফুটো হয়ে গ্যাস বেরিয়ে এ অগ্নিকান্ডে সৃষ্টি হয়। এ সময় পাশে থাকা চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এক্সক্লাভেটর দিয়ে কাজ করার সময় তিতাস গ্যাসের সরবরাহ লাইনে আঘাতে স্পার্কিং হয় এবং গ্যাস লাইনের ফুটো হয়ে নির্গত গ্যাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বিআরটি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সমন্বয় না করায় প্রায়শঃ নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। সমন্বয়হীনতার অভাবে ক্যাবল কাটা পড়ে গাজীপুর, টঙ্গী ও বোর্ডবাজার টেলিফোন এক্সচেঞ্জের আওতাধীন আড়াই সহ¯্রাধিক টেলিফোন লাইন দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। এতে গ্রাহকরা দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।