খাগড়াছড়ি জর্জ কোর্টের এ্যাডভোকেট সুপাল চাকমা শেরে বাংলা স্বর্ণ পদক-১৯ পেয়েছেন। আইন পেশায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি এই পুরষ্কার পান। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের আয়োজনে বিকাল ৪ টায় ঢাকার কাঁটাবন মোড়ের নিউ চিংড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে উপমহাদেশে শিক্ষা বিস্তারে শেরে বাংলার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই পদক লাভ করেন।

এ্যাডভোকেট সুপাল চাকমা খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলাধীন কেয়াংঘাট ইউনিয়নের যাদুগানালা গ্রামের পিতা সাধনমনি চাকমা ও মাতা মৃতঃ শান্তিবালা চাকমার সন্তান। তিনি ১৯৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ভাই-বোনেরা ও সবাই নিজ নিজ যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত।
এ্যাডভোকেট সুপাল চাকমা আইন বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এল.এল.বি (সম্মান) ও ১৯৯৮ সালে এল.এল.এম ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০০১ সালে খাগড়াছড়ি জর্জ কোর্টে এ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকা ভুক্তি হন। তখন থেকে আজও তিনি আইন পেশায় অবদান রেখে চলেছেন।

উল্লেখ্য যে, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করে আসছে এবং দেশের স্বনামধন্য ব্যাক্তিত্ব, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবি, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংবর্ধনা দিয়ে তাদের কাজের অনুপ্রেরণা যোগাতে এই পদক দিয়ে আসতেছে।

মিল্টন চাকমা কলিন, মহালছড়ি প্রতিনিধি