বাবা এইচ এম এরশাদের আসনের উত্তরাধিকারী হলেন ছেলে সাদ এরশাদ। এই জয়ের ফলে লাঙ্গলের দুর্গ হিসেবে খ্যাত রংপুর সদর আসন লাঙলেরই থাকল। তবে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা একাদশ সংসদ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম।

নির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪৭ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদের চাচাত ভাই মটোরগাড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮৪ ভোট। মাছ প্রতীকে গণফ্রন্ট প্রার্থী কাজী মো. শহিদুল্লাহ পেয়েছেন ১ হাজার ৬৬২, কেলাফত মজলিষের তৌহিদুর রহমান মন্ডল দেয়াল ঘড়ি মাকায় পেয়েছেন ৯২৪ ভোট এবং এনপিপি প্রাতী শফিউল আলম আম প্রতীকে পেয়েছেন ৬১১ভোট।

৪ লাখ ৪১ হাজার ২২৪ ভোটারে মধ্যে ভোটাধিকার প্রযোগ করেছেন মাত্র ৯৪ হাজার ৬ জন। রংপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনের ১৭৫টি কেন্দ্রে আজ ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদকে বেসরকাভিাবে জয়ী ঘোষণা করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ এই উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

জাতীয় পার্টি ও বিএনপির প্রার্থী ছাড়া উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ বায়েজিদ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ভোটে লাঙলের জয় নিশ্চিত হয়ে সাদ তার অভিব্যক্তি বলেন, ‘রংপুরবাসী আমার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। রংপুরে জাতীয় পার্টির দুর্গ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার দেওয়া কথা অনুযায়ী বাবার (এরশাদ) অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে পিছিয়ে পড়া রংপুরকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তখন ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ। এরশাদের মৃত্যুর পর ওই আসনে আজ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।