রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমার এখনো অনিরাপদ। সেখানে ফেরার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি দেশটি। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ইয়াংঘি লী এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নির্যাতন ও নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি রাখাইনে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের বেঁধে দেয়া শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার। এখনো উত্তর রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এই অবস্থায় তাদের ফেরত পাঠানো হলে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করা নিয়েই ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হতে হবে ক্ষুদ্র এই জনগোষ্ঠীকে।

ইয়াংঘি লী বলেন, ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের যে নাগরিক পরিচয়পত্র সরবরাহ করার কথা রয়েছে, এখন পর্যন্ত তা নিয়েও নিশ্চুপ মিয়ানমার সরকার। এই ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ওপর সংঘটিত হত্যাকা- ও মানবিক নির্যাতনের কথা বরাবরের মতোই অস্বীকার করে আসায় আবারও যে তাদের ওপর সুপরিকল্পিত সেনা আগ্রাসন হবে না, সে বিষয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।সবশেষে জাতিসংঘকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে কর্মরত কোনো ব্যক্তির বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও ছয় জ্যেষ্ঠ সেনাকর্মকর্তার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আনার আহ্বান জানান ইয়াংঘি লী।

এছাড়া, রাখাইনে চীন-মিয়ানমার সরকারের যৌথ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণ শুরু হওয়ায় রোহিঙ্গাদের ভূমি ফিরিয়ে দেওয়া নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের এই তদন্তকারী।বরাবরের মতো এবারও রোহিঙ্গাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সুপরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। দেশটির সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এরপর তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হলেও চীন ও রাশিয়ার বাধায় পিছিয়ে যায় এ প্রক্রিয়া।