নগরীরর বন্দর থানার হালিশহরে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্কুলছাত্রী পলির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আবুল কাশেম খানকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান আদালতে এই আদেশ দেন।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্কুল ছাত্রী রেবেকা সুলতানা পলির ভাইয়ের দায়েরকৃত মামলায় বাড়িওয়ালাকে আটক করা হয়। পরে সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত আবুল কাশেমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে নগরীর বন্দর থানার দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহরে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে রেবেকা সুলতানা পলি (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। পলি নগরীর হলিশহর আহমদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তারা খাগড়াছড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার মা বন্দর এলাকায় সিইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত। বর্তমানে নিহত পলির মা উপার্জন করে সংসার চালান। পলির বড় ভাই রাসেল অনার্স শেষ করে বিসিএস কোচিং করছেন। নিহতের বাবা অন্য একটি বিয়ে করে মালয়েশিয়া পাড়ি দেন। ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে রেবেকা সুলতানা পলির দাফন সম্পন্ন করা হয় বলে জানা গেছে।

Andrrew Russell পলির ভাইয়ের ওয়াল থেকে সংগৃহীত

০২-১০-২০১৯ আমার বোন রেবেকা সুলতানা পলি হত্যা হওয়ার পর। পুলিশ প্রশাসন ৮ঃ৩০ এর দিকে আসে এবং লাশ নামিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।তখন আমার বোনের পিঠে আঘাতের চিহ্ন, ঠোঁটে কামড়ের দাগ, গলার নখের দাগ, মুখে হাতের ছাপ, হাতের কব্জি ভাঙ্গা এবং তালুতে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও সুরতহালে তা উল্লেখ করা হয়নি।

তবে আসামি আবুল কাশেম খান কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় যাওয়ার পর আসামীপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে টাকা দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখি।তখন এই ঘটনাকে সামনে এগিয়ে না নেওয়ার জন্য পুলিশ পক্ষ থেকে আমাদেরকে ১৪ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হলে।আমরা তা নাকচ করি।

পরবর্তীতে লাশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আমরা আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে প্রশাসন মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।আমরা অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে অভিযোগ নিতেও অস্বীকৃতি জানায়।তখন আমরা মিডিয়ার শরনাপন্ন হলে তারপর তারা মামলা নেয়।তবে আমরা মামলায় আবুল কাশেম খানকে আসামি করতে চাইলে পুলিশ তা না করে আসামি অজ্ঞাত রেখে মামলা করে।আসামীর অর্থবিত্ত ও প্রভাব প্রতিপত্তি থাকায় এবং পুলিশ প্রশাসনের এমন ভূমিকায় আমরা এখন ন্যায়বিচার নিয়ে শংকায় আছি।
#We_want_Justice

#এই সময় উনার পাশে যদি কেউ না দাড়াই তাহলে আবার ও হেরে যাবে বাংলাদেশ