বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে শনাক্ত করে চকবাজার থানায় মামলা হয়েছে। আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে আরও পাঁচ-ছয় জন যুক্ত আছেন বলে দাবি করেছেন নিহত আবরার ফাহাদের পরিবার। ফাহাদের মামাতো ভাই আবু তালহা রাসেল বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চাইলে হল প্রোভোস্ট বলেছেন এই ফুটেজ থানা থেকে দেওয়া হবে। আবু তালহার জানান, হত্যা মামলা দায়ের করতে আবরারের বাবা এখন চকবাজার থানায় অবস্থান করছেন। মামলা দায়ের করার পর বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আবরারের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন আবরারের স্বজনরা।

রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই–বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চারজন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।

আটকরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য-গবেষণা সম্পাদক ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার এবং ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন। এছাড়া আটক বাকি দুই জনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য জানায়নি পুলিশ।