যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।আজ মঙ্গলবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আফজালুর রহমান সকাল সোয়া ১০ টায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।  তিনি বলেন, ‘সম্রাটের পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণে সম্রাটের চিকিৎসা চলছে।’

এর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করলে সকাল সাড়ে ৭টায় সম্রাটকে কারাগার থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢামেক চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। এদিকে, সম্রাটের অসুস্থতা হওয়ার খবরে হাসপাতালে দেখা করতে এসেছেন তার আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন। গতকাল সোমবার রাতে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। এই রিমান্ড শুনানি আগামীকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।

রমনা থানা পুলিশ অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানো-পূর্বক ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম ইয়াসমিন আরা আসামি সম্রাটের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন ও রিমান্ড শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেলে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে মাদক, অস্ত্র ও ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করে র‌্যাব। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে ৬ মাস কারাদণ্ড দিয়ে কেরানীগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটকে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে রমনা থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এর আগে গত রোববার ভোর ৫টার দিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।