নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন আবরার ফায়াজ নিজেই। এছাড়া তার এক ভাবিকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে পুলিশ বলছে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর রায়ডাঙ্গায় আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়ির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।

বুধবার বিকেলে আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়িতে যান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তবে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পড়েন তিনি। আবরারের কবর জিয়ারত করে বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি জেলা প্রশাসকের গাড়িতে করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। তবে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ফেসবুকে লেখেন, ‘আজকে Additional SP (উনি বলেন উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়ার? আমার ভাবি কে মারছে? নারীদের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেয়? এই চাটুকারদের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২ মিনিটে জানাজা শেষ করতে বলেন কিভাবে? যেই ছাত্রলীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? আমার বাবাকে হুমকি দেয়া হয়েছে আপনার আর এক ছেলে ঢাকা থাকে আপনি কি চান তার ক্ষতি হোক….. গ্রাম-এ বলা হয়েছে কেউ কিছু করলে ১ সপ্তাহ পর গ্রামের সব পুরুষ জেলে থাকবে। বিচার চাই…আমি বিচার চাই….. নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন বাবা-মা কষ্ট একবারে পাবে।’

স্থানীয়রা জানান, আবরারের বাড়িতে যেতে চাইলে ভিসিকে বাধা দেয় গ্রামবাসী। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ, তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী আহত হন। ভিসি আবরারের কবর জিয়ারত করেছেন। তবে আবরারের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফাইয়াজ উপাচার্যকে মারতে এগিয়ে গেলে তিনি তাকে থামান। বেশকিছু মানুষ উপাচার্যের দিকে ছুটে আসেন। তাদেরকে বুঝিয়ে থামানো হয়। কারও গায়ে তিনি হাত তোলা হয়নি, সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আবরার ফায়াজের স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শেয়ার করছিলেন অনেকেই। যদিও স্ট্যাটাসটি এখন আইডি থেকে গোপন করা হয়েছে, কিন্তু ছবি আকারে ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।