বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের এমন কোন আন্দোলন নেই যে আন্দোলনে সাফল্যের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামীলীরে নাম জড়িত নাই। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ইতিহাস গর্বের ও গৌরবের ইতিহাস মানুষের জীবন জিবীকার ইতিহাস। জাতীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমান গরিব দু:খি মানুষের স্বপ্ন পূরনের জন্য চেষ্ঠা করে গেছেন।

কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তিতায় আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সংস্কতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি এসব কথা বলেন।
আওয়ামীলীগের নের্তৃত্বেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। সকল অর্জনই আওয়ামীলীগের আমলে। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা এবং জাতীয় চার নেতাকে জেল খানায় হত্যা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে আমাদের আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনেক কিছু মুছে ফেলার চেষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম শিক্ষা হল ইতিহাস কে কেউ মুছেফেলতে পারে না। ইতিহাস তার সময় মত তার যায়গা দখল করে নেয়।
বৃহস্পতিবার কাপাসিয়া পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ও জেলা আ’লীগের সভাপতি অ্যাড. আ ক ম মোজ্জাম্মেলন হক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি।
সম্মেলনে সর্বস্মতিক্রমে পুনরায় মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সভাপতি ও মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের দলীয় লোকও অন্যায় করে পার পায় না। শেখ হাসিনা আগে নিজের দল শক্ত করছেন। এই দূর্নীতি বিরুধী অভিজান আরো চলবে। দলকে নীতি এবং আদর্শে পথে এগিয়ে নিতে হবে। আমি নেতা কর্মীদের অনুরুধ করবো দলকে জানার বুঝার চেষ্ঠা করুন। কেবল স্লোগান দিয়েই নীতি আদর্শ বাস্তবায়ন হবে না। নীতি আদর্শের যায়গায় ভাল শিক্ষক হতে হবে, ভাল ডাক্তার হতে হবে, ভাল ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে, ভাল ব্যবসায়ী হবে, ভাল সমাজকর্মী হবে। বিএনপিরা ২০ বছর ক্ষমতা চালিয়েছে। তারা এখন একজন কর্মীও খোঁজে পায় না। কারণ তাদের আদর্শের কর্মী ছিল না। দূর্নীতির আখরা হয়েগিয়েছিল সব তাই এখন ভেঙ্গে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড: আমানত হোসেন খান, শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. সামশুল আলম প্রধান, শ্রীপুর পৌর চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি ডা: আব্দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড, রেজাউর রহমান মিঠু, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলু, সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হামিদুল হক, উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি এ্যাড. ফজলুল কাদের শেখ, এ্যাড. মাজহারুল ইসলাম সেলিম, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. হাফিজ উল্লাহ খোকা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ দর্জী, ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম ভূইয়া, রাশেদুল হক সৈকত প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।