রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ওবায়দুলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এর আগে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে আসামি ওবায়দুল খানকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার সময় সুরাইয়া আক্তার রিশার মা ও তার ছোট বোন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৬ অক্টোবর রিশা হত্যা মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল। তবে দুর্গাপূজার কারণে আসামি হাজির করতে না পারায় আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন।

রিশা রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজার এলাকার রমজান হোসেনের মেয়ে। আর দণ্ডিত আসামি ওবায়দুল দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। সে রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলের বৈশাখী টেইলার্সের কর্মচারী ছিল। ঘটনার ছয় মাস আগে ওই টেইলার্সে স্কুলের ইউনিফর্ম বানাতে রিশা মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল। সেখানে দেওয়া মোবাইল নম্বর পেয়ে রিশাকে উত্ত্যক্ত শুরু করে ওবায়দুল। একপর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুট ওভারব্রিজে রিশাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে। পরে স্কুলের শিক্ষার্থীরা রিশাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ২৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রিশা মারা যায়।

এ ঘটনায় ওই বছর ২৪ আগস্ট রিশার মা তানিয়া বেগম রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওবায়দুলের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। রিশার মৃত্যুর পর মামলায় হত্যার ৩০২ ধারা সংযোজন করা হয়। ওই বছর ৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওবায়দুলকে।