মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছেন রাফাহ নানজীবা তোরসা। গতকাল শুক্রবার রাতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজনের গ্র্যান্ড ফিন্যালে অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো এ অনুষ্ঠানের দুই উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস ও শ্রাবণ্য তৌহিদার কণ্ঠে নিজের নাম শুনে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তোরসা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তোরসা বলেন, ‘আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। অনেক পরিশ্রম করেছি নিজেকে সেরা হিসেবে দেখব বলে। আত্মবিশ্বাস ছিল। সবার কাছে দোয়া চাই, আমি যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।’ মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৯ প্রতিযোগিতার মূল আসরে বাংলাদেশের হয়ে লাল-সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করবেন এ সুন্দরী। আগামী ডিসেম্বর লন্ডনে বসছে এ আয়োজন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে নতুন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নির্বাচনের এ আয়োজন। অডিশনের জন্য ৩৭ হাজার ২৪৩ সুন্দরী নিবন্ধন করেন। সেখান থেকে অডিশনের জন্য ডাক পান ৩০০ জন। তাদের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস, লুনা, সুমনা সোমা ও রফিকুল ইসলাম। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ৩৫ জন সুন্দরী নিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতার মূল আয়োজন।

সৌন্দর্য, শিক্ষা, বুদ্ধিমত্তাসহ আরও কিছু যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ ১২ প্রতিযোগীর মধ্যে গতকাল ছিল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। সেখান থেকে প্রথমে সুমাইয়া শান্তা, জান্নাতুল ফেরদৌস মেঘলা, রাফাহ নানজীবা তোরসা, প্রিয়ন্তী উর্বী, ফাতিহা মাহামী ও নিশা চৌধুরী নির্বাচিত হন। তাদের মধ্য থেকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় রাফাহ নানজীবা তোরসার নাম। প্রথম রানার আপ হয়েছেন ফাতিহা মায়াবী এবং দ্বিতীয় রানার আপ জান্নাতুল ফেরদৌস মেঘলা।

প্রধান তিন বিচারক ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম। অমিকন এন্টারটেইনমেন্টে সঙ্গে অনুষ্ঠানটির আয়োজক সহযোগী এক্সপার্ট ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান অমিকন এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান, আয়োজক সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সপার্ট প্রোভাইডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অপু খন্দকার, এক্সপোজার ট্যালেন্ট এজেন্সির সিইও সজীব রশীদ, আয়োজনের ব্রডকাস্টিং পার্টনার এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ও নানা অঙ্গনের তারকারা। এর আগে ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মুকুট পরেন জেসিয়া ইসলাম ও ২০১৮ সালে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।