৩৬তম বিসিএস উত্তীর্ণ দ্বিতীয় শ্রেণির (নন-ক্যাডার) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা পদে নিয়োগ না দেওয়ার নিয়ষ্ক্রীয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির যেকোন গেজেটেড পদে বা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম ও মো. সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আইনজীবি ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, ৩৬তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান রিট আবেদনকারীরা। কিন্তু নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০১০ (সংশোধনী ২০১৪) এর বিধান অনুসারে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটিও দ্বিতীয় শ্রেণির তবে গেজেটেড পদ নয়। অন্যদিকে ৩৬তম বিসিএস (নন-ক্যাডার) হিসেবে অন্যান্য প্রার্থীরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেয়েছেন কিন্তু রিটকারীদের নন গেজেটেড পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা সংবিধান পরিপন্থি।রিট আবেদনটি করেছেন ৩৬তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে নন ক্যাডার হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. মাহবুব-উল-আলম, মিজানুর রহমান, জাকিরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আক্তারুজ্জামান, শামীম হোসেন, মাহমুদা আক্তারসহ ৭৪ জন।