গত ১৩ই অক্টোবর সিডনির রকডেলে রেডরোজ হলে অনুষ্ঠিত হলো সিডনির দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মনুমেন্টের ফান্ড রেইজিং ডিনার। প্রায় ৩৫ হাজার ডলার সংগ্রহে পুরো সিডনির দেশপ্রেমিক বাঙ্গালীরা ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এই সমন্বিত কাজে। স্মৃতির মিনার গড়তে হবে, পৃথীবির সব জাতিতে জানিয়ে দিতে হবে লড়াকু বাঙ্গালীর আত্মমর্যাদা আর অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস, এতো মানবজাতিরই ইতিহাস।

এই কাজটি নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্টারবুরী-ব্যাঙ্কসটাউনের নির্বাচিত কাউন্সিলর বৃহত্তর ফরিদপুরের ভাঙ্গার সন্তান নাজমুল হুদা। কাউন্সিলর নাজমুল হুদা ও কেন্টারবুরী-ব্যাঙ্কসটাউনের নির্বাচিত কাউন্সিলর ফেনীর সন্তান শাহে জামান টিটো, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের সন্তান আব্দুল্লাহ আল নোমান শামিম, সিডনির বাংলা হাবের সভাপতি যশোহরের সন্তান মুনীর হোসেইন ও সিডনির সমাজসেবক কুমিল্লার সন্তান লিঙ্কন শফিকুল্লাহ। গত ১৩ ই অক্টোবর ২০১৯ হল ভর্তি সমাবেশে একত্রিত হয়েছিলেন সারা সিডনির প্রায় সব বাংলাদেশী সংগঠন ও সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ববর্গ। কেন্টারবুরী ব্যাঙ্কসটাউন সিটি কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলর খালিদ আশফর, শোফি কোটসি এমপি, বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাউন্সিল জেনারেল কামরুজ্জামান, সর্বোপরি, বাংলাদেশের হাই কমিশনার মান্যবর সুফিউর রহমানের উপস্থিতিতে সিডনির ইদানিংকালের সবচেয়ে ফান্ড রেইজিং ইভেন্টটি সফল হয়।

অতিথিদের স্বাগত জানান ডঃ তানভীর এবং ফান্ড রেইজং ডিনার উপস্থাপনা করেন স্মৃতিসৌধের মুল উদ্যোক্তা কাউন্সিলর নাজমুল হুদা, স্মৃতির মিনারের বিস্তারিত তুলে ধরেন উদ্যোক্তা মুনীর হোসেইন, প্রভাবশালী কাউন্সিলর ও উদ্যোক্তা শাহে জামান টিটো কাউন্সিলের কাজের বিস্তারিত তুলে ধরেন, উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সাথে এই মিনারের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত বলেন। এসময় উদ্যোক্তা লিঙ্কন শফিকুল্লাহ প্রবাসীদের নিয়ে এই সমন্নিত প্রয়াসের আলোচনা উপস্থাপনা করেন। উল্লেখ্য, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সহায়তায় ডিনার প্রোগামটি সফলতায় পরিনত হয়।

মুলত কেন্টারবুরী-ব্যাঙ্কসটাউন কাউন্সিলের উদ্যোগে এই প্রক্রিয়ারকে সামনে নিয়ে এসে পাঁচজনের ক্রমাগত প্রয়াসে এই অনবদ্য কাজটি সফলতার মুখ দেখে ৭ মাস পরে। প্রধান অতিথির ভাষনে বাংলাদেশের মান্যবর হাই কমিশনার বলেন, ‘ভাষাযোদ্ধাদের এই অনবদ্য কাজে ও সিডনির সফল এই কাজে আবারো এটি প্রমান হলো, বাঙ্গালী ঐক্যবদ্ধ তাঁর দেশ, ঐতিহ্য ও অহঙ্কারের অবস্থান থেকে।‘ এসময় সিডনির বিপুল সংখ্যক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্ল্যখ্য, এই শহীদ মিনারটি সিডনিতে ভাষা দিবসের উপর দ্বিতীয় প্রয়াস, এর আগে ২০০৬ সালে একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে সিডনির এশফীল্ড পার্কে পৃথিবীর প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মনুমেন্ট তৈরী হয়।