আগামী ১১ ও ১২ নভেম্বর দুইদিন ব্যাপি খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ির শ্রী শ্রী দক্ষিণা কালি মন্দিরে “জীবনে মরনে তুমি সবাকার প্রতি, তোমা বিনে ত্রিভুবনে অন্য নাহি গতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব রাস মহোৎসব। এই রাস মহোৎসব অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন করার জন্য গতকাল ১৪ অক্টোবর সোমবার রাত ৮টার সময় মহালছড়ি শ্রী শ্রী দক্ষিণা কালি মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এক সভায় সবার সম্মতিক্রমে একটি পূজা উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়।

মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীলকে সভাপতি, সাগর চৌধুরীকে সাধারন সম্পাদক ও জয় বিশ্বাসকে অর্থ সম্পাদক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

উল্লেখ্য রাস মহোৎসব সম্পর্কে কিছু পৌরণিক কথা প্রচলিত আছে যে কার্তিক মাসের পূর্ণচন্দ্র তিথিতে বৃন্দাবনে যুথিকা, মাধবী, কুঞ্জ, মালতি প্রভৃতি পুষ্পের সুগন্ধের বায়ুদ্বারা সুবাসিত এবং ভ্রমরের গুঞ্জন, কৌকিলের কোলাহল ধ্বনিতে নিনাদিত পুলকিত যমুনার তীর। সেইদিন ব্রজগোপীরা লজ্জা, মান, ভয় এই ত্রি-শত্রুকে পদদলিত করে রসরাজ শ্রী কৃষ্ণের সান্নিধ্যে পেয়েছিলেন। শ্রী কৃষ্ণও ভক্তের মনবাঞ্চা পূরণে নয় লক্ষ গৌপির সাথে নয় লক্ষ শ্রীকৃষ্ণ রুপ ধারণ করেছিলেন। গোপিনীদের নাচ ও শ্রীকৃষ্ণের সুমধুর বংশীধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছিল বৃন্দাবনের পবিত্রভূমি। পরবর্তীকালে শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণের এই মিলন উৎসবকে শ্রীচৈতন্যদেব নাম-সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে রাস মহোৎসবে পরিণত করেন। শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, কেউ যদি তাঁকে জানতে চায়, তবে তাঁকে অবশ্যই ভক্তির আশ্রয়ে থাকতে হবে। এই দিনে তাই বৈষ্ণব ভক্তরা তাঁদের ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় মেতে ওঠেন রাসলীলায়। যা রাস মহোৎসব বা রাসলীলা নামে সমাদৃত।

মিল্টন চাকমা কলিন, খাগড়াছড়ি, মহালছড়ি প্রতিনিধি