আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে একে একে সব অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলন যাতে হয়, সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাদক-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দলের কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থাকলে দল কখনোই মেনে নেবে না।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও চার প্রেসিডিয়াম সদস্য ছাড়া অন্য ৩৪ সদস্য নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুবলীগের বৈঠক শুরু হয়েছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, চারজন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, শেখ মারুফ গণভবনের এই বৈঠকে যাননি।

যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস সম্পন্ন করার ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকা বৈঠকে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অন্যায়ভাবে দুর্নীতি করে কেউ আঙুল ফুলে কলা গাছ হবে, এটা কঠোরভাবে দেখা হবে। ফেসবুকে নবীর নামে অপপ্রচারকারীদের পাশাপাশি পুলিশের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ এটা দেশকে অশান্তির দিকে ঠেলে দিতেই এই অপপ্রচার। এই ঘটনায় যারা সংশ্লিষ্ট তাদের কেউ ছাড় পাবে না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশকে যখন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তখনই দেখা যাচ্ছে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়। যারাই অপরাধী হোক না কেন তাদের কোনো ক্ষমা নেই। আমরা কোনো অন্যায় অবিচার বরদাশত করব না।’
ক্যাসিনো, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকসহ নানা অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে খোদ প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ জানিয়েছেন। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর দল থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়। এরমধ্যে যুবলীগ নেতারাও রয়েছেন।