ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে মিজানুর রহমান ওরফে পাগলা মিজানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় রোববার (২০ অক্টোবর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে বিকেলে সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন। তিনি মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান।

অন্যদিকে আইনজীবীরা মিজানের জামিনের আবেদন করেন। মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন উভয় পক্ষের আবেদন শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ১১ অক্টোবর ভোরবেলা শ্রীমঙ্গলের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় তাঁকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, মিজান সীমান্ত এলাকা হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুরে তার বাসায় অভিযান চালান র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় তার বাসা থেকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক, এক কোটি টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়।

পর‌দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মা‌নি লন্ডা‌রিং এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অস্ত্র আইনে র‌্যাব বাদী হয়ে তার নামে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে। সে‌দিনই তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি তার সাত দি‌নের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চলমান জুয়া ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে হাবিবুর রহমান মিজানকে আটক করা হয়। পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, মিজান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পরই লাপাত্তা হন। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।