গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, একজন মানুষের শিক্ষা লাভের কোন বয়স নেই, উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয় তা প্রমাণ করেছে। এ বিশ^বিদ্যালয়টি সকল বয়সের মানুষের শিক্ষা লাভের জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়টি শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি প্রদীপ হিসেবে কাজ করছে। যারা বিভিন্ন কারণে নিয়মিত শিক্ষা লাভ করতে পারেননি অথবা বয়সের কারণে শিক্ষাঙ্গান থেকে বাদ পড়েছেন তারাই এ বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি বলেন যারা বিদেশে কাজ করছেন অথবা বিভিন্ন কারণে বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের জন্যেও শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়। এটা অবশ্যই বিশ^বিদ্যালয়ের এবং আমাদের দেশের জন্য গৌরবের বিষয়।

বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকালে বিশ^বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাযার্চ প্রফেসর ড. এম এ মাননান। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকালে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণিল সাজে সজ্জিত এক বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস অভ্যন্তরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর উপচার্য কার্যালয়ে কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেক কাটায় অংশ নেন মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এ মাননান, ইউ.জি.সি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ, প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মোকাদ্দেস হোসেন, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসফাক হোসেন, রেজিষ্ট্রার ড. মো: শফিকুল আলম, পরিচালক তথ্য ও জনসংযোগ (পিআরএল) আবুল কাশেম শিখদার প্রমুখ। এর আগে রঙিন বেলুন ও সাদা পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের দেশব্যাপী ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্রসহ সকল ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপযার্চ অধ্যাপক ড. এমএ মাননান বলেন, দেশের একমাত্র উন্মুক্ত ও দূর শিক্ষানির্ভর এ বিশ^বিদ্যালয়টি এ বছর ২৮ বছরে পদার্পণ করছে। সারা দেশে উšমুক্ত এবং দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা মহাসরণী থেকে ঝরেপড়া, সুযোগ বঞ্চিত নারী পুরুষ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দেশের সকল বয়সের সকল মানুষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার ২৭ বছরে এসে ৫৭টি আনুষ্ঠানিক একাডেমিক প্রোগ্রাম ও ১৯টি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রোগ্রামে প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী দেশজুড়ে ১ হাজার৫‘শ ৭৬টি স্টাডি সেন্টারে মাধ্যমিক থেকে পি.এইচ.ডি শিক্ষা পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে। সারা দেশে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাঁদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তথ্য প্রযুক্তি ও ইলেলটনিক্স মিডিয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সুযোগ সবার জন্য অবারিত করেছে।