ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে চলমান ধর্মঘটকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আর ধর্মঘটের এই অবস্থায় হার্ডলাইনে রয়েছে বিসিবি। আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা শুরু হওয়ার কথা আছে। এতে খেলোয়াড়রা অংশ নেবে কি না, বিসিবি সেদিকে নজর রাখবে। যদি অংশ না নেয় তাহলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবে। ভারত সফরের ক্যাম্প শুরু হবে আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে। এই ক্যাম্পেও খেলোয়াড়রা অংশ নেয় কি না, সেদিকে নজর রাখবে বিসিবি। এতেও যদি কেউ অংশ না নেয় তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে বিসিবি।

গতকাল সোমবার ১১ দফা দাবি জানিয়ে ধর্মঘটে যায় ক্রিকেটাররা। তাদের এ ধর্মঘটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৈঠক শেষে বিসিবি সভাপত নাজমুল হাসান পাপন এসব কথা জানান।

পাপন বলেন, ‘খেলোয়াড়রা খেলা বন্ধ করেছে এটার পেছনে কোনো না কোনো ষড়যন্ত্র আছে। বাইর থেকে কারা ষড়যন্ত্র করছে, এটা আমরা জানি। খেলোয়াড়দের মধ্যেও দুই-একজন জানে, অধিকাংশ খেলোয়াড়দের ব্যবহার করা হচ্ছে।’

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি যখন ক্রিকেট বোর্ডে আসি, আমি যখন আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে যাই, যাওয়ার পর দুই বোর্ড মিটিংয়ে তখন শুধু একটাই আলোচনা, বাংলাদেশ বাদ টেস্ট ক্রিকেট থেকে। বাংলাদেশে আর জিম্বাবুয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বাদ। ওরা আমাদের সঙ্গে টেস্ট খেলবে না, টেস্ট স্ট্যাটাস বাদ। সেখানে ঘুরায়ে ঘুরায়ে এত কষ্ট করে বাংলাদেশকে রেখে আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ খেলতে যাচ্ছি ঠিক ওই সময়টায় ধর্মঘট ডাকাটা, ক্যাম্পে না যাওয়া আমাদের মনে হয়, বুঝতে আমাদের বাকি নাই আসলে কী হচ্ছে এটাতে।’

ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়ে পাপন বলেন, ‘ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য কথা বলছে তারা, উন্নয়নের কোনো লক্ষণই আমি দেখছি না। যা যা জিনিস চাইলেই তারা পাবে সেসব জিনিস তারা চাইতে আমাদের কাছে আসেনি। এখনো ওরা আসেনি। আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন ধরছে না বা কেটে দিচ্ছে।’

বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘ওরা যে আমাদের কাছে দাবি না দিয়ে, মিডিয়াতে গিয়ে বলল। এটাও একটা বিশেষ কারণে বলেছে। এখন পর্যন্ত তারা যে বয়কটটা করল, উইদাউট গিভেন অ্যাসেন্ডিং, শুনব কি শুনব না। এটার সুযোগই তো নাই। আর এই যে খেলা বন্ধ করল, এসবকিছু একটা প্ল্যানের পার্ট। এটা পরিকল্পনা করে করা হচ্ছে, কিছু মিডিয়া প্রোমোটও করছে।’