চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা, নির্মাতা ও গল্পকার হুমায়ূন সাধু। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে দ্বিতীয় দফায় জানাজা শেষে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার মেটাল রহিম মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন হয় তার।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন সাধুর পরিবারের সদস্যসহ নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অভিনেতা ইরেশ যাকের, নির্মাতা রেদওয়ান রনি, আশফাক নিপুণ, ইমেল হকসহ ছবিয়ালের পুরনো ও নতুন সদস্যরা।

এরআগে মেটাল রহিম মসজিদে জুম্মার নামাজের পর তার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর আসর পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয় হুমায়ূন সাধুর পরিবারের সদস্যদের জন্য। কারণ সেসময় তার পরিবারের অনেকেই সেখানে এসে পৌঁছাতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাধু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া। বিশেষ করে তার হঠাৎ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না দেশের হাজারো শুভানুধ্যায়ি ও ভক্তকূল। গেল রবিবার দ্বিতীয় বারের মতো ব্রেন স্ট্রোক করায় এদিন রাতেই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হুমায়ূন সাধুকে। এরপর থেকেই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো।

এর আগে গত মাসের ২৯ তারিখে হুমায়ূন সাধুর প্রথম ব্রেন স্ট্রোক হয়। তখন তার কথা বলাও বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে নিয়ে অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই তার দ্বিতীয় ব্রেন স্ট্রোক হয়ে লাইফ সাপোর্টে ভর্তি ছিলেন এই অভিনেতা।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হাত ধরে শোবিজে আগমন ঘটে হুমায়ূন সাধুর। ফারুকীর পরিচালনায় ‘ঊন মানুষ’ টিভি ফিকশনটিতে হুমায়ূন সাধুর দুর্দান্ত অভিনয় খুব অল্প সময়েই দর্শকের মাঝে পরিচিত করে তুলে তাকে।

এরপর নিয়মিত অভিনয় করেছেন টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে। বেশকিছু নাটকও পরিচালনা করেছেন সাধু। তার লেখা একমাত্র গল্পের বই ‘ননাই’ প্রকাশ পেয়েছিলো সর্বশেষ একুশে বই মেলায়। সামনে চলচ্চিত্র নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন।