শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভ চলছে গত ছয়দিন থেকে। এ বিক্ষোভে ৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে এ খবর জানায় তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ও সিএনএন। অ্যামনেস্টির গবেষক ফিসেহা তেকলে এএফপিকে জানান, এখন পর্যন্ত আমরা ৬৭ জন নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি জানান, সরকার বিরোধী এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। তবে এখন এই বিক্ষোভ জাতিগত ও ধর্মীয় সংঘাতের দিকে রূপ নিচ্ছে।

ফিসেহা তেকলে বলেন, ‘কিছু মানুষ মারা গিয়েছে লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে। গুলি করে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। কিছু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ আবি আহমেদের এক সময়ের মিত্র জাওয়ার মোহাম্মদের সমর্থকেরা গত ছয়দিন ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে দেশটিতে। বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে জাওয়ার মোহাম্মদ সহিংসতা বর্জনের জন্য মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। সরকারের প্রতি সমঝোতামূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন একে অপরের হত্যার সময় নয়, আপনি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন আর আপনার দেশেই গুলিতে মানুষ মারা যাচ্ছে। আপনার সমর্থকদের সতর্ক করেন। নাহলে আরও বড়ো রক্তপাত সামনে অপেক্ষা করছে।’

গত বছর আবি আহমেদের দেশটির ক্ষমতায় আসার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল দেশের বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী ওরোমোর সংগঠক এবং মিডিয়া উদ্যোক্তা জাওয়ারের। আবি নিজেও একই জাতিগোষ্ঠীর নেতা। তবে স্থানীয় নেতারা তাদের অঞ্চলের জন্য আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা ও উন্নয়ন দাবি করে আসছে। যদিও আবি আহমেদের অভিযোগ, একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাতীয় ঐক্যের চেয়েও একটি জাতিগোষ্ঠীর স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এ বছর শান্তিতে নোবেল পান প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।ইরিত্রিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে দুই দশকের দীর্ঘ সীমান্ত যুদ্ধ নিরসনে ভূমিকা রাখা তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।