ভোলার বোরহান উদ্দিনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে। শনিবার ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মাহমুদুর রহমান এ রিপোর্ট পেশ করেন ভোলার জেলা প্রশাসকের কাছে। তদন্ত কমিটি গত পাঁচদিন বোরহানউদ্দিনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার দিন সেখানে উপস্থিত থাকা পুলিশ, সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, স্থানীয় আলেম সমাজ ও হিন্দু নেতৃবৃন্দসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য গ্রহণ করেন। এছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করেন।

৩ সদস্যের কমিটিতে আরও ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা আইসিটি আতাউর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাসিনুল হাকিম। গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সনাতন ধর্মীয় এক যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার প্রেক্ষিতে ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানায় জিডি করেন। জিডি করার সময় থানায় অবস্থানকালেই বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য’র নম্বরে একটি কল আসে এবং তার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ওসিকে জানান।

এরপরে ২০ অক্টোবর রোববার সকালে ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে সনাতন সম্প্রদায়ের ওই যুবকের বিচারের দাবিতে ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে সমাবেশ করা হয়। সেই সমাবেশ শেষে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন চারজন। এছাড়াও ১০ পুলিশ সদস্যসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।