যৌতুকের দাবীতে বাক প্রতিবন্দি এক গৃহবধূকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে নিহতের লাশ চট্রগ্রাম থেকে গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিহতের বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে পালিয়েছে নিহতের স্বামী। পুলিশ মঙ্গলবার নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

নিহতের মা রহিমা বেগম ও স্বজনরা জানান, কালীগঞ্জের জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আব্দুল আজিজের বাক প্রতিবন্দি মেয়ে মারজিয়া আক্তার লিপির (৩৪) সঙ্গে একই গ্রামের হাসিমুদ্দিন সরকারের ছেলে মোশারফ হোসেন সরকারের প্রায় ১৮/১৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও দু’মেয়ে রয়েছে। মোশারফ তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে চট্রগ্রামের হালিশহরে ভাড়া বাসায় থেকে ঠিকাদারি কাজ করত। যৌতুকের দাবীতে বিয়ের পর হতেই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়শঃ মোশারফ তার স্ত্রীকে নানা নির্যাতন করত। প্রায় তিন বছর আগে স্বামীর নির্যাতনের কারণে লিপির বাম চোখ নষ্ট হয়। মঙ্গলবার বিকেলে স্বামীর মারধরে লিপি নিহত হয় বলে হালিশহরের প্রতিবেশীরা নিহতের স্বজনদের জানায়। স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বুধবার ভোর রাতে গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিহতের বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় লিপির স্বামী। মোশারফের অসংলগ্ন কথাবার্তায় নিহতের স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা কালীগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। এসময় মোশারফ কালীগঞ্জের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার দুপুরে নিহতের বাবার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরে আঘাতের সামান্য চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থল পাহাড়তলী থানা এলাকা হওয়ায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই থানাকে জানানো হয়েছে।