নতুন ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর আর চীন সীমান্ত লাগোয়া লাদাখ হবে আলাদা একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।দুই অঞ্চলই সরাসরি রাজধানী দিল্লি থেকে পরিচালিত হবে। গত ৫ আগস্ট জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ সংক্রান্ত ঘোষণাটি দেয় কেন্দ্র সরকার।এরপর থেকেই পুরো অঞ্চল জুড়ে নিরাপত্তার অতিরিক্ত কড়াকড়ি চলছে।

লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরকে মাথুর। আর জম্মু ও কাশ্মীরের দায়িত্ব পেলেন গিরিশ চন্দ্র মুর্মু। গুজরাটের এক জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে বলেন, ‘এখন থেকে কেন্দ্রীয় সহযোগীতা সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। নতুন মহাসড়ক, রেললাইন, নতুন স্কুল, হাসপাতাল জম্মু কাশ্মীরের কাছে উন্নয়নককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে।’ ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকারের চেয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অনেক কম স্বায়ত্বশাসন ভোগ করে। সাবেক রাজ্যটি ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপূর্ণ এলাকার একটি।এটি বিশ্বের শীর্ষ সামরিকিকরণকৃত এলাকা। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ নিজেদের দাবি করে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করে অংশবিশেষ।

দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার পর ৯৮ শতাংশ মানুষ বাস করবে কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে। এছাড়াও এই অঞ্চলে আরও একটি স্পষ্ট বিভক্তি থাকছে। মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর উপত্যকার জনসংখ্যা ৮০ লাখ। আর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মুর জনসংখ্যা ৬০ লাখ।নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ একটি উচু মরু এলাকা।এখানকার জনসংখ্যা ৩ লাখ। এখানে মুসলিম ও বৌদ্ধ প্রায় সমান। মরকার জানিয়েছে রাজ্যের পুরাতন কর্মচারীরাই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক কাজ করবেন।