বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্যাসিনো স্ক্যান্ডালসহ দুর্নীতির বিষয়ে যে শুদ্ধি অভিযান এটাকে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা বলছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা। আমরা মনে করি যে, এটা (শুদ্ধি অভিযান) মূল দুর্নীতিকে অর্থাৎ জাতীয় দুর্নীতিকে আড়াল করার জন্য ছোট-খাটো দুর্নীতিগুলোকে সামনে নিয়ে এটাকে আড়াল করা হচ্ছে। শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর দেশের নীতির বিপক্ষে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা মনে করি এটা সম্পূর্ণ স্ববিরোধী। এ সিদ্ধান্ত মিয়ানমারের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্যের দিকে সরকার যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের নীতির বিরোধী। যেখানে আমরা সব সময় বলছি যে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। আবার স্থায়ীভাবে তাদেরকে রাখার জন্য আপনারা (সরকার) চরের মধ্যে চমৎকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে যে, আমরা মেনে নিচ্ছি প্রকারান্তরে রোহিঙ্গারা এখানে থাকবে।

সমগ্র জাতি আজকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারের লোকেরা সরাসরি দুর্নীতিতে জড়িত। দুর্নীতি দমন কমিশন সব সময় নিরপেক্ষ থাকে না। সেজন্য নিরপেক্ষ একটা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এসব দুর্নীতির তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

সম্প্রতি ভারতের সাথে হওয়া চুক্তিগুলো খোলাসা করার আহবান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ভারতের সাথে যেসব চুক্তি হয়েছে এসব বিষয়ে জনগণ জানতে চায়। কী কী চুক্তি হয়েছে জনগণের কাছে প্রকাশ করুন। বারবার বলা হয়েছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে; কিন্তু আমাদের সমস্যা সমাধানের বিষয়গুলো লক্ষ্য করছি না। আজকের বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্য কমিশন বরাবর চিঠি দেব।

বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।