রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম আলোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার রাহাতের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনে নেমেছে সহপাঠীরা। আজ শনিবার তারা চার দফা দাবি জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলে তারা এসব দাবি জানিয়েছে।
চার দফা দাবিসহ ফেসবুকের ওই ইভেন্টের পেস্টটি তুলে ধরা হলো :
‘রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম আলোর ম্যাগাজিন “কিশোর আলো”র বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান চলাকালে অব্যবস্থাপনার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার রাহাতের মৃত্যু হয়। আমাদের সহপাঠী আবরার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আমরা আছি রাজপথে।
আমাদের দাবিগুলো হলো-
১. ঘটনা চলার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে হবে।
২. অনুষ্ঠানের মিস ম্যানেজমেন্টের দায় স্বীকার করে কিশোর আলো, ইভেন্ট অরগানাইজার, আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত বক্তব্য দিতে হবে।
৩. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ছাত্রদের হাতে পৌঁছাতে হবে।
৪. শুধু দুর্ঘটনা নয়, তাদের গাফিলতি, মিস ম্যানেজমেন্ট ও উদাসীনতা উল্লেখ করে পত্রিকায় বিবৃতি দিতে হবে।’
ওই ফেসবুক পোস্টটিতে লেখা হয়, ‘প্রথম আলোর কিশোরদের কাগজ কিশোর আলোর “কিআনন্দ” অনুষ্ঠানটি ছিল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের মাঠে। সেখানে বিদ্যুতায়িত হয়েছিল নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার। তাকে মেডিকেল ক্যাম্পে দুজন ডাক্তার দেখার পরে পাঁচ মিনিট দূরত্বের পাশের সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।’
ফেসবুক পোস্টটিতে আন্দোলনকারীরা কয়েকটি প্রশ্ন তোলে। প্রশ্নগুলো হলো:
‘১. প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাঠের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা কি তারা গুরুত্বের সাথে দেখেছিলেন?
২. আবরার মারা গিয়েছে এই তথ্য জানার পরেও কোনো মানবিকতার তারা অনুষ্ঠানটি তারা চালিয়ে গেলেন?
৩. আবরারকে পাশের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে কেন অন্য হাসপাতালে নেওয়া হলো?
৪. তাহসানের গানের শেষে আবরার আহত হলো, মাইকে মাঠের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কথা না জানিয়ে অর্ণবকে স্টেজে তোলা হলো। মাঠের হাজার শিশু কিশোরদের তারা কেন তখন সতর্ক করলেন না? উল্টো বিনা ঘোষণায় শেষ করলেন অনুষ্ঠান। এটি কি অন্যায় নয়?
৫. অনিরাপদ বিদ্যুতের তার রেখে হাজারো শিশুদের কেন মাঠে ঢোকালেন কিশোর আলো কর্তৃপক্ষ? তারা কি এই দায় এড়াতে পারে?’
