গাজীপুরের শ্রীপুরে চলন্তবাসে ধর্ষনের চেষ্টাকালে অভিনেত্রী এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ওই বাসের কন্ডাক্টর ও হেলপারকে গ্রেফতার এবং বাসটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়া থানার আমড়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে জুয়েল (২৮) ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার চন্দনকান্দি গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে আশিক (২২)। তারা গাজীপুর সিটি সার্ভিস চ্যাম্পিয়ন পরিবহন বাসের চালকের সহকারী।

মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মঞ্জুরুল হক কিশোরীর বরাত দিয়ে জানান, কিশোরীটি ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে বিনোদনমূলক শর্টফিল্ম ও ছোট নাটিকাসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। সে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে একটি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য ঢাকা থেকে যাচ্ছিল। পথে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা মোড় থেকে মাওনাগামী গাজীপুর সিটি সার্ভিস চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি মিনি বাসে উঠে ওই কিশোরী। কিছুদুর যাওয়ার পর যান্ত্রিকত্রুটির কথা বলে ওই কিশোরী বাদে অন্য যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেয় বাসের শ্রমিকরা। পরে গন্তব্যস্থলে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাসের চালক-হেলপার ও কন্ডাক্টর বিভিন্ন সড়ক ঘুরিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর উপর নিয়ে যায় কিশোরীটিকে। চালক সেতুর উপর দিয়ে বাসটিকে ধীরগতিতে চালাচ্ছিল। এসময় ওই চলন্ত বাসের ভিতরে শ্রমিকরা কিশোরীটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আত্মরক্ষার্থে কিশোরীটি পা দিয়ে বাসের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে এবং চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। পথচারীরা এ ঘটনা দেখতে পেয়ে মাওনা হাইওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পরিবহনের দু’শ্রমিককে আটক করে। তবে ঘটনার সময় গাড়ীর চালক কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরী বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাতেই মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত হেলপার ও কন্ডাক্টর দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।