গাজীপুরে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের দুইজনকে আটক করেছে র‌্যাব-১’র সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা, মোবাইল এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। সোমবার র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন-কাশেম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আটককৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত সাফি মিয়ার ছেলে পিকআপের মালিক মোঃ নবির হোসেন (৩৯), একই থানার ঘুষামারা এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে পিকআপ চালক মোঃ সুমন মিয়া (৩০)।

র‌্যাব-১এর ওই কর্মকর্তা জানান, হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে আনে একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালানকারী চক্রের সক্রিয় সদস্যরা। পরে মাদকের ওই চালানটি গাজীপুর হয়ে রাজধানী ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ গোপন সংবাদ পেয়ে রবিবার রাতে উত্তরা র‌্যাব-১’র একটি আভিযানিক দল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সদর থানাধীন দক্ষিণ সালনা এলাকার শ্যামলী গার্মেন্টস সংলগ্ন হৃদয় এন্টারপ্রাইজ এর সামনে সড়কের উপর অভিযান চালায়। র‌্যাব সদস্যরা একটি পিকআপের গতিরোধ করে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য পিকআপের মালিক নবির হোসেন (৩৯) ও চালক সুমন মিয়াকে (৩০) আটক করে। র‌্যাব সদস্যরা ওই পিকআপ হতে ৪০ কেজি গাঁজা ও ২টি মোবাইল জব্দ করে। এসময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ওই পিকআপটিও জব্দ করা হয়।

র‌্যাব’র কর্মকর্তা আরো জানান, আটককৃতরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা মাদক চোরাচালানকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে গাঁজার চালান নিয়ে আসে। পরবর্তীতে সেগুলো অভিনব কায়দায় বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনে করে ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করা হয়। আটককৃত উক্ত চালানটি গাজীপুর মহানগরীর জনৈক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে সরবরাহ করার কথা ছিল। হবিগঞ্জের জনৈক মাদক ব্যবসায়ী মাদকের চালান আটক উক্ত নবির ও সুমনের মাধ্যমে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় নিয়ে সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের নিকট খুচরা ও পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে। এজন্য চালান প্রতি মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে পিকআপ মালিক নবিরকে ৪৫ হাজার টাকা ও পিকআপ চালক সুমনকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হতো বলে আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।