সংবাদপত্রের মতো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের নবম ওয়েজ বোর্ডসহ পরবর্তী ওয়েজ বোর্ডগুলোতে আনার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্যসচিব ও শ্রমসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এছাড়া হাইকোর্ট তার রুলে নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেটে থাকা মন্ত্রিপরিষদের তিনটি সুপারিশ কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল ও আইনজীবী নুরুল করিম বিপ্লব।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভার সুপারিশ গেজেটে থাকা অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস রিটটি করেন। রিটের পক্ষের আইনজীবী জানান, শ্রম বিধিমালায় গণমাধ্যমের সজ্ঞায় ইলেকট্রনিক মিডিয়াও আছে। তাই ইলেকট্রনিক মিডিয়াকেও ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এদিকে নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রকাশিত গেজেটে মন্ত্রিসভার তিনটি সুপারিশ রয়েছে। সেগুলো হলো সংবাদকর্মীরা আয়কর দেবেন, এক মাসের গ্র্যাচুইটি পাবেন ও নবম ওয়েজ বোর্ড পর্যায়ক্রম অনুসরণযোগ্য হবে। অথচ গেজেটে আছে সংবাদকর্মীরা দুটি গ্র্যাচুইটি পাবেন।

এছাড়া পঞ্চম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে করা মামলার রায়ে বলা হয়েছে সংবাদকর্মীদের আয়কর দেবেন সংবাদপত্রের মালিক। তাই মন্ত্রিসভার সুপারিশ আইনে সমর্থন করে না। এবং ওই সুপারিশ গেজেটে থাকা সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এসব বিষয় যুক্ত করে এবং মন্ত্রিসভার আনা সুপারিশ নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেটে থাকা অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে রিটটি করা হয়।