ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। মন্দবাগ রেলস্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধ শতাধিক।

এরই মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকা নিহত ১০ মরদেহর মধ্যে স্বজনদের কাছে চারটি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন-চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মুজিবুল রহমান (৫৫), হবিগঞ্জের ভোল্লার ইয়াছিন আরাফাত (১২), চুনারুরঘাটের তিরেরগাঁওয়ের সুজন আহমেদ (২৪), মৌলভীবাজারের জাহেদা খাতুন (৩০), চাঁদপুরের কুলসুম বেগম (৩০), হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আল-আমিন (৩০), হবিগঞ্জের আনোয়ারপুরের আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), হবিগঞ্জের বানিচংয়ের আদিবা (২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সোহামনি (৩), চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫), চাঁদপুরের হাইমচরের কাকলী (২০), হবিগঞ্জের রিপন মিয়া (২৫), চাঁদপুরের হাইমচরের মরিয়ম (৪), নোয়াখালীর মাইজদির রবি হরিজন (২৩), চাঁদপুর সদরের ফারজানা (১৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের পিয়ারা বেগম (৩২)।

জেলা সিভিল সার্জন শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন বেশ কয়েকজন। এর আগে তিন জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), সদর হাসপাতাল, আখাউড়া এবং কসবা উপজেলা হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে এখন পর্যন্ত পাঁচটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেললাইন থেকে বগি সরানোর কাজ করছে দু’টি রিলিফ ট্রেন। এছাড়া পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ করছে। দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।