খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার শ্রী শ্রী দক্ষিণা কালী মন্দিরে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব রাসমহোৎসব। এই উৎসব উপলক্ষে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন, গুনীজন সংবর্ধনা ও ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১১ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রতন কুমার শীলের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি চিন্তাহরণ শর্মার সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়।

মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান (পিএসসি) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে রাসমহোৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিমউদদীন, সনাতন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সজলবরণ সেন, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মাসহ এলাকার অসংখ্য গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। অতিথিদেরকে পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রী শ্রী শ্রীকৃষ্ণের রাসমহোৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাগর চৌধুরী বরণ করে নেন।

গুনীজন সংবর্ধনায় গুনীজন হিসেবে মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান (পিএসসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন চক্রবর্তীকে রাস মহোৎসব উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও ধর্মরক্ষার কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের ময়দানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিশ্রিত বাণীর “গীতা”(বাগীশিক কর্তৃক প্রণীত) প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। উৎসব সবার হলেও ধর্মের নৈতিক শিক্ষা, আদব কায়দা, দায়িত্ব ও কর্তব্য নিজের। বক্তারা আরো বলেন অন্যান্য পাঠ্য বইয়ের মতো গীতা শিক্ষা হতে জ্ঞান আয়ত্ব করে জীবন গড়ার শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। সমাজ তথা দেশকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে গীতা শিক্ষার কোন বিকল্প নাই বলে বক্তারা বলেন। এর আগে আয়োজিত গীতাপাঠ, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগীতা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে যারা ১ম, ২য় ও ৩য় হয়েছে তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মিল্টন চাকমা কলিন , (খাগড়াছড়ি) মহালছড়ি প্রতিনিধি