আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইরানে জ্বালানির দাম বাড়ার পর গত সপ্তাহে দেশটির ২১টি শহরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ চলাকালে কমপক্ষে ১০৬ জন নিহত হয়েছেন।

এদিন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানায় যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
অ্যামনেস্টি এক বিবৃতিতে জানায়, এই বিক্ষোভে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এর থেকেও বেশি বলে মনে করে সংগঠনটি। নিহতের সংখ্যা ২০০ পর্যন্ত হতে পারে বলেও বেশ কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। ইরানি সরকার সোমবার জানায়, কিছু ছোটখাটো ইস্যু থাকা সত্ত্বেও সবকিছু শান্ত আছে। এদিকে এই বিক্ষোভ অবসানের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ডস কর্পস।

এক বিবৃতিতে এই সশস্ত্র বাহিনী জানায়, ইরানের শত্রুরা আরেকটি মতভেদের বীজ বুনতে চাচ্ছে। দেশে যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে এমন পদক্ষেপ শক্তভাবে মোকাবিলা করা হবে।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে ইরান। এই বিক্ষোভ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইটারে জানান, আপনাদের সঙ্গে আছে যুক্তরাষ্ট্র।এছাড়া বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী শক্তিপ্রয়োগ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার ঘটনায় নিন্দা জানায় হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য ভণ্ডামি বলে মন্তব্য করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণেই ইরানের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।