প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় শিশুদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে এবারের পরীক্ষায় বহিষ্কার হওয়া ১৫ শিশুর ক্ষেত্রে পুনরায় পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করে।

গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নির্দেশনাবলীর ১১ নম্বর নির্দেশনা (যার আওতায় শিশুদের বহিষ্কার করা হয়েছে) কেন অবৈধ হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে আদালত।

পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন শিরোনামে একটি দৈনিকে দেশ রূপান্তর গত ১৯ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক। বৃহস্পতিবার শুনানি করে আদালত রুল জারি করে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ২ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আগামী ১০ ডিসেম্বর আদালত বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছে বলে জানান আইনজীবী এ এম জামিউল হক।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার শুরু হওয়া প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অসাধু পন্থা অবলম্বন করার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১৫ শিশুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।এ বিষয়ে নির্দেশনাও রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তবে শিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষক এমনকি অভিভাবকরা বলছেন, কোমলমতি শিশুদের এ ধরনের বহিষ্কার তাদের ওপর এক ধরনের মানসিক নির্যাতন। যারা পরীক্ষা কিংবা নকল করার বিষয়টিই এখনো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি।

কর্তব্যরত শিক্ষকরা আরও সচেতন হলে এ ধরনের বহিষ্কার এড়ানো যেত। শিশুদের বহিষ্কারের বিষয়টি নির্দেশনায় রাখা কতটা যৌক্তিক তা ভাববার বিষয় রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও।